
শামীম হোসাইন, বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারার নরদাশ ইউনিয়নের পালশার বিলে কৃষকের কৃষি জমি অবৈধ এবং জোরপূর্বক দখল করে মাছ চাষের অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫ টায় বিল সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত কৃষকদের দাবি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি গত প্রায় ১০/১২ বছর ধরে শুধুমাত্র ধান চাষের বিনিময়ে অলিখিতভাবে একটি মহল ভোগদখল করে আসছে।এখন আমরা এর প্রতিকার চাই।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, সুজন পালশা গ্রামের কৃষক মোঃ বাবু, মোঃ আবুল ওয়াহেদ, মনজুরুল ইসলাম শান্ত সহ অন্যান্য কৃষকগণ।
কৃষক বাবুর দাবী একটি মহল দীর্ঘদিন যাবত প্রভাব খাটিয়ে এককভাবে বিল চাষ করে আসছিল যার ফলোশ্রতিতে তারা আমাদেরকে শুধুমাত্র ধান চাষ করে দিত। ধান চাষের শেষের দিকে তারা পানি সেচও ঠিকমত না দিয়ে ধান পুড়িয়ে ফেলত। আমরা নিরুপায় হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে গভীর নলকূপ বোরিং করি তখন তারা জোরপূর্বক আমাদের জমিতে পানি সেচ দেয়। এখন আমরা তাদের ডিপের পানি চাইনা।
কৃষক মুনজুরুল ইসলাম শান্ত বলেন, আমাদের জমি আমরা চাষ করব আমরা মাছ উৎপাদন করব কৃষকের দখলে কৃষকের জমি থাকবে এখানে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করলে আমরা তা মানবো না।
কৃষক আবুল ওয়াহেদ বলেন, তারা জোরপূর্বক আমাদের জমিতে পানি সেচ দিচ্ছে আমরা গভীর নলকূপ বোরিং করলে তারা এসে হুমকি দিচ্ছে।
গোলাম মোস্তফা বলেন, তাদের নিজস্ব জমিতে আগে পানি সেচ দিয়ে তাদের ধান হয়ে যাচ্ছে, অথচ আমাদের জমিতে পানি দিতে দেয়না। তারা জবর দখল করে বিল চাষ করতে চায়। আমরা যারা জোৎদার আছি তাদেরকে হুমকি-ধামকি দেয়। আমরা পানি চাইলে আমাদের কাছে ১৫ বছরের জন্য লিখিত ডকুমেন্ট চাই মাছ চাষ করার জন্য । আমরা দিতে রাজি না হওয়াই আমাদের জমিতে তারা পানি সেচ দেইনি, বাধ্য হয়ে আমরা নিজের টাকা খরচ করে গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি সেচ দেওয়া শুরু করেছি। সেই মুহূর্তে তারা সারোয়ার জাহান সবুরের প্ররোচনায় আমাদের জমিতে পানি দেওয়া শুরু করেছে। আমরা পানি না নিলে তারা আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
তারা কোন লিখিতভাবে তাদের জমিতে মাছ চাষ করার সুযোগ দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষকরা বলেন, আমরা কোন লিখিত কাউকে দিইনি তাদের কাছে কোন ডকুমেন্ট নেই। উল্টো তারাই আমরা কেন ডিপ বোরিং করলাম সেজন্য ইউএনও মহোদয়ের দপ্তরে ও বরেন্দ্র অফিসে অভিযোগ করে।
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও মহোদয় সরেজমিনে পরিদর্শন করে আমাদেরকে বলেন, আপনারা বৃহৎ স্বার্থে যা করছেন সেটি করেন। বর্তমানে আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষ সারওয়ার জাহান সবুরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাদের অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমি ওই বিলের কোন শেয়ার নেই এবং জানান আপনারা সত্য উদঘাটন করে নিউজ করবেন।
এ ব্যাপারে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।