নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) এর একটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পরেও রহস্যজনক কারনে তা ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিত্যক্ত ভবনটিতে বসবাস করে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা।
গণপূর্ত বিভাগ গত ১৭ ই সেপ্টেম্বর ভবনটি পরিতক্ত ও বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করে। পরিত্যক্ত ঘোষণার পরেও রামেক কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে দিনের পর দিন পার হলেও ভবনটি খালি করেনি। ফলে যেকোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. খন্দকার মো. ফয়সাল আলম গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছিলেন আলোচনা করার পরে ভবনটি খালি করবেন। শেষ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ফয়সাল আলম প্রকাশকালকে বলেন, মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কাজের চাপে আছি। আমারা আলোচনা করেছি কিনা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন এবং অফিসে দেখা করতে বলেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায় একটি চক্র এসবকিছু ম্যানেজ করে চলছে। ভবনটি ব্যবহারের জন্য টাকা আদায় করছে। আদায়কৃত টাকা কলেজ ফান্ডে জমা পড়ছে না ফলে চক্রটি তাদের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
অনেকে ধারণা করছে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে বোঝাপড়া করেই অবৈধ বাণিজ্য চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল কলেজের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল কলেজে দুদকের অনুসন্ধান হয়নি যার কারণে একটি চক্র সবকিছু দখল করে লুট করতেছে। দুদক হস্তক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের কোয়াটার (৪নং বিল্ডিং) যা ডাক্তারদের নামে বরাদ্দ থাকলেও সেটিতে বসবাস করে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন মানিক, হিসাবরক্ষক এস এম হাসিবুর রহমান, টেকনিশিয়ান মহসিন আলী, অফিস সহায়ক মোহাম্মদ ইমাম রাজা জীবন। সকলেই সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিনা ভাড়ায় বসবাস করছে।
অপর আরেকটি ভবন (৯নং বিল্ডিং) পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগী হওয়া সত্বেও বিনা বরাদ্দে ব্যবহার করছে অসাধু কর্মচারী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন , ড্রাইভার মোহাম্মদ সালাম হাওলাদার , আউটসোর্সিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ আইনুল হক। নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে বিনা ভাড়ায় থাকছে তারা।
জানা যায়, উপরোক্ত বিষয়গুলো দেখাশোনা করেন অধ্যক্ষের পিএ ও স্টোর কিপার মামুন। বসবাস কারীদের কাছ থেকে মামুন নিয়মিত মাসোয়ারা গ্রহণ করে ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মামুনের নামে-বেনামে সম্পদ রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রাজিব আলী
পুবালী মার্কেট শিরোইল কাচা বাজার রাজশাহী
মোবাইল : ০১৭১২-৪৫৪৬৮০, ০১৭৮৯৩৪৫১৯৬
মেইল : info@prokashkal.com
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৪ | সাইট তৈরি করেছে ইকেয়ার