
শাহান আলী, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি অডিটোরিয়ামে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেল ৫টায় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইকবাল হাসান হিরু এবং সঞ্চালনা করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে. এম. রায়হান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন সবুজ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক নওশাদ এবং পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম রাজা। সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রোশন রোশনাই।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা শাখার সভাপতি তারিকুল ইসলাম শাকিক চৌধুরী, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বখতিয়ার ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত আলী রবিউল, মিজানুর রহমান মিজান ও মাসুম রানা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাদিম আলী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আক্তার হোসেন ও রহমত আলী, সাবেক পৌর বিএনপির কৃষক দলের সভাপতি আবু বক্কার রঞ্জু এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ (বাঘা) , ৯০ দশকের ছাত্রী নেত্রী শাহজাদপুর সরকারি কলেজের এ,জি,এস আকলিমা খন্দকার সুপ্তি।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ জানান, ৮ জুন (রবিবার) রবীন্দ্র কাচারিবাড়ির কিছু কর্মচারী রূপপুরের গ্রামের প্রবাসী শাহনেওয়াজ ও তার স্ত্রীকে মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
এরই প্রেক্ষিতে ১০ জুন (মঙ্গলবার) শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। পরে ওই মিছিল হঠাৎ করে রবীন্দ্র কাচারিবাড়ির দিকে গিয়ে সেখানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
বিএনপি নেতারা দাবি করেন, এই হামলা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত এক নেতা—সবুজের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছে, যিনি পূর্বে ঢাকা মহানগর উত্তরের ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তারা জানান, কাচারিবাড়ির দুইটি অংশ—অডিটোরিয়াম ও জাদুঘরের মধ্যে অডিটোরিয়ামে ভাঙচুর চালানো হয়, তবে জাদুঘর অংশে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অডিটোরিয়ামের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলা হয়। এই ঘটনায় বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী সম্পৃক্ত নয়।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পর একটি চক্রান্তমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে—যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। তারা এই অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং স্পষ্ট করেন যে, এই হামলার সঙ্গে বিএনপি কোনোভাবেই জড়িত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে নির্দোষ কাউকে হয়রানি না করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য রবীন্দ্র কাচারিবাড়ির ফটক পুনরায় উন্মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।