
সাহিদ হাসান:
ঈদের মানে খুশি। অন্য দিনের তুলনায় এই দিনটি আলাদা। আনন্দের এদিন কারাগারগুলোও কাটে ভিন্ন আবহে। কারাবন্দীদের জন্য আয়োজন করা হয় বিশেষ খাবারের। ঈদের নামাজের জামাতে শরিক হন কারাবন্দীরা।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সাধারণ বন্দীদের মতোই কারাগারে থাকা ভিআইপিসহ (বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের একই ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে । এদিন সকালের খাবারে পায়েস, সেমাই ও মুড়ি। দুপুরে দিয়েছে পোলাও বা খিচুড়ি, মুরগির রোস্ট, গরু ও খাসির মাংস, সালাদ, মিষ্টি ও পান। আর রাতে দেওয়া হয়েছে ভাত, বড় রুই মাছ ও আলুর দম।
এছাড়াও ঈদের পরের দিন বন্দীদের জন্য তাদের বাসার খাবার দেওয়া সুব্যবস্থা করেছিলো কারা কতৃপক্ষ।
অন্যদিকে সারা বছর সাধারণ বন্দীদের সকালে দেওয়া হয় হালুয়া, রুটি ও ডিম। দুপুরের খাবারের তালিকায় থাকে ভাত, ডাল, সবজি। রাতে খাবার দেওয়া হয় ভাত, ডাল, মাছ বা গরুর মাংস।
বন্দিরা যাতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন, সে জন্য বিশেষ সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। প্রত্যেক বন্দি ২০ মিনিট করে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। যাদের স্বজনরা আসতে পারেননি, তাদের জন্য টেলিফোনে পাঁচ মিনিট কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।
ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত চলে এই বিশেষ সাক্ষাত ও মোবাইল ফোনে আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সাথে কথা বলার বিশেষ সুব্যবস্থা ।
রাজশাহী বিভাগীয় কারা উপ-মহাপরিদর্শক মোঃ কামাল হোসেন বলেন , বাসার খাবার কারাগারে প্রবেশ এর ক্ষেত্রে ছিল বিশেষ নজরদারি যেন খাবারের মধ্যে কোন ভাবেই অবৈধ কিছু বা মাদক প্রবেশ না করতে পারে।
জেলার মোঃ আমান উল্লাহ্ বলেন, ‘বন্দিদের সংশোধনের মাধ্যমে প্রকৃত মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশ অনুযায়ী ঈদের দিনে এই বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। বন্দিদের জন্য এমন মানবিক ও আনন্দঘন আয়োজন তাদের মানসিক সুস্থতা ও সামাজিক পুনর্বাসনের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।