
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর দেশের সব জায়গায় দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ হলেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) এর দুর্নীতি কমেনি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ( রামেক) পরিত্যক্ত ও বসবাসের অনুপযোগী বোর্ড দেওয়া ভবনে কর্মচারীদের বসবাস। ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনটিতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভবনটি পরিত্যক্ত ও বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করে রাজশাহী গণপূর্তি বিভাগ। যার স্মারক নং – রামেকহা/ প্রশা/ ২০২৪/৫৪০৬।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের কোয়াটার (৪নং বিল্ডিং) যা ডাক্তারদের নামে বরাদ্দ থাকলেও সেটিতে বসবাস করে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন মানিক, হিসাবরক্ষক এস এম হাসিবুর রহমান, টেকনিশিয়ান মহসিন আলী, অফিস সহায়ক মোহাম্মদ ইমাম রাজা জীবন। সকলেই সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিনা ভাড়ায় বসবাস করছে।
অপর আরেকটি ভবন (৯নং বিল্ডিং) পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগী হওয়া সত্বেও বিনা বরাদ্দে ব্যবহার করছে অসাধু কর্মচারী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন , ড্রাইভার মোহাম্মদ সালাম হাওলাদার , আউটসোর্সিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ আইনুল হক। নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে বিনা ভাড়ায় থাকছে তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. খন্দকার মো. ফয়সল আলম প্রকাশকালকে জানান, আমার যোগদান করা বেশিদিন হয়নি, বিগত দিনের বিষয়গুলো আমার জানা নাই। যারা ওখানে বসবাস করছে তারা মানবিক কারণে আছে কিন্তু এটা অবৈধ।
রাজশাহী গণপূর্তি বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হায়াত মো শাকিউল আজম মুঠোফোনে বলেন, ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছি এটাই আমার কাজ। বাকিটা দেখা কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
জানা যায় উপরোক্ত বিষয়গুলো দেখাশোনা করেন অধ্যক্ষের পিএ ও স্টোর কিপার মামুন । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল কলেজের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান পরিত্যক্ত বাসা থেকে মামুন নিয়মিত মাসোয়ারা গ্রহণ করে যে কারণে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত । মামুনের আয়-ব্যয় ও সম্পদের হিসেব সঠিক ভাবে যাচাই-বাছাই করার জন্য দুদকের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এছাড়াও জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মামুনের নামে-বেনামে সম্পদ রয়েছে।