
শাহান আলী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গার্মেন্টসকর্মী প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন প্রেমিকা শিখা খাতুন ও তার মা রাশিদা বেগম। পরে প্রেমিক নাহিদের স্বজনেরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার দুপুরে শাহজাদপুর পৌর শহরের পারকোলা গ্রামে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারকোলা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে গার্মেন্টসকর্মী নাহিদের সঙ্গে উপজেলার কাংলাকান্দি গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে ও পারকোলা পলিটেকনিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী শিখা খাতুনের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে বিয়ের দাবিতে শিখা প্রেমিক নাহিদের বাড়িতে অবস্থান নেন।
পরে উভয় পক্ষের লোকজন রাতের বেলায় আপোষ-মীমাংসার জন্য বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ আলোচনা শেষে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পরদিন সোমবার সকালে শিখা ও তার মা পুনরায় নাহিদের বাড়িতে গেলে, হঠাৎ করে নাহিদের পরিবারের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায় এবং গুরুতর আহত করেন। পরে অচেতন অবস্থায় নাহিদের মা ও অন্যান্য স্বজনেরা শিখা ও তার মাকে উদ্ধার করে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে নাহিদের পরিবারের লোকজন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বাড়ির লোকজন উত্তেজিত হয়ে ধাক্কাধাক্কি করলে শিখা ও তার মা আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে শিখা ও তার মা রাশিদা বেগমের চিকিৎসা দিচ্ছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।
শিখা ও তার মা অভিযোগ করে বলেন, “নাহিদের সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে আমার প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। কিছুদিন ধরে সে বিয়ে করতে গড়িমসি করছে। শনিবার বিয়ের কথা বলে আমাকে বাড়িতে নিয়ে গেলে, তার মা ও ভাই আমাকে মারধর করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়।”
রোববার দুপুরে শিখা তার মায়ের সঙ্গে নাহিদের বাড়ির সামনে গেলে, নাহিদের মা, বাবা ও ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মারধর করে তাদের আহত ও অচেতন করে ফেলে রাখেন। তারা জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।