
রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সনদ তুলতে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের পরে অফিসে এসে সময় শেষ হওয়ার আগেই দপ্তর ছাড়ছেন অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা পড়ছেন চরম বিড়ম্বনায়, পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা। এমতাবস্থায় ভোগান্তি কমাতে শিফট বৃদ্ধি করে ননস্টপ (সকাল-সন্ধ্যা) সনদ বিতরণ সার্ভিস চালু করার দাবি তুলছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা বেজে ৫৪ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ শাখায় সরেজমিনে গিয়ে যায় একটি দরজা ব্যতিত সকল জানালা-দরজা বন্ধ অফিস কক্ষের। ইতিমধ্যে অফিস ছেড়েছেন একজন সনদ সেবাদাতা ব্যতিত অন্যান্য সকলেই।
এদিকে দূরদূরান্ত থেকে সার্টিফিকেট নিতে এসে তা না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। কথা হয় এমন একজন সাবেক শিক্ষার্থীর সাথে। তিনি বর্তমানে চাকরী করছেন বাংলাদেশ পুলিশে। আগামীকাল জয়েন করবেন পোস্টিং পাওয়া নতুন কর্মক্ষেত্রে। একদিনের সময় নিয়ে এসেছিলেন সনদ তুলতে। অফিস সময় শেষ হওয়ার ফলে সনদ না নিয়েই খালি হাতে ফিরে যান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, সময় আরো বৃদ্ধি করে সকাল-সন্ধ্যা শিফট করে ননস্টপ সার্ভিস চালু করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
দর্শন বিভাগের আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি ঢাকা থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে এসেছি। আসার সময় আমাকে যেসব প্রমাণপত্র আনতে বলেছিল এনেছি পরে অন্যান্য কাগজ দেখতে বলছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। এখন অফিসে ফিরব নাকি কাল সব জোগাড় করে সনদ নেব সেটাই ভাবছি। প্রশাসন এবিষয়গুলো আমলে নিয়ে সনদ প্রদানের সময় বৃদ্ধি করলে ভোগান্তি কমবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্যই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, তাদের জন্যই আমরা। তাদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের দাবি আমলে নিয়ে শিফট বৃদ্ধি করে সনদ শাখায় ননস্টপ সেবা চালু করা যায় কিনা এ বিষয়ে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করব।