
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন কামাল হোসেনের একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রশাসন সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের বিভাগীয় সভায় তিনি এ প্রস্তাব করেন।
গেজেটেড (ক্যাডার-ননক্যাডার) কর্মকর্তা নিয়োগে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কর্তৃক লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় মেধা যাচাই করা সম্ভব হলেও এবং চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকলেও মৌখিক পরীক্ষায় তা সম্ভব নয় এক্ষেত্রে কোন জবাবদিহিতারও সুযোগ নেই। বিধায় শুভঙ্করের ফাঁকি ২০০ নম্বরের ভাইভার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৫০ নম্বর করা হলে মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত হবে। যেমন-আর্থিক, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২০ নাম্বার থাকে; যার কারণে সেখানে ১০০% মেধার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। অতএব, বিসিএস ভাইভায় মেধারভিত্তিতে নিয়োগে সর্বোচ্চ ৫০ নম্বর রাখা অত্যন্ত যৌক্তিক হবে জনপ্রশাসন সংস্কার সংক্রান্ত রাজশাহী বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন কামাল হোসেন লিখিতভাবে এ প্রস্তাব করেছিলেন।
তার এই প্রস্তাবটি আমলে নিয়ে সংস্কার কমিশন বিসিএস ভাইভায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে ১০০ নম্বর রাখার সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন কামাল হোসেন বলেন, সংস্কার কমিটি বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ায় মেধা যাচাইয়ে সুযোগ থাকবে। এর আগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করায় সঠিক মেধা যাচাইয়ের সুযোগ ছিল না।