
সাহিদ হাসান, রাজশাহী:
রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন্সের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) একথা জানান ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন।
গত (১১ ফেব্রুয়ারি) একটি নিউজ পোর্টালে ”রাজশাহী কারাগারের ডিআইজি কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ” এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ”কামাল হোসেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠভাজন হওয়ায় তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কারাগারে পিসি বাণিজ্য, বন্দীদের খাবার বাণিজ্য থেকে শুরু করে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ হরিলুট করেছে”। যার সত্যতা পাওয়া যায় নি। এটি পুরোপুরি অসত্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ডিআইজি কামাল আসার পর থেকে বন্দীদের খাবার ও চিকিৎসার মান উন্নয়ন হয়েছে। আগে বন্দীদের বিভিন্ন দুর্ভোগ ও হেনস্থায় পড়তে হতো যা কামাল হোসেন নিরসন করেছেন। এছাড়াও কারাগারের সার্বিক উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সব নিউজ করা হচ্ছে তা মূল ধারার কোন পত্রিকাতে আসেনি এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক WhatsApp কথোপকথনে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, বিভিন্ন পত্রিকায় আসছে, এজন্য তিনি আদিষ্ট হয়ে নিউজ করবেন। কামাল হোসেন তখন তাকে যথাযথ প্রমাণ ও ভেরিফায়েড তথ্য-উপাত্তসম্বলিত বস্তুনিষ্ঠ নিউজ করার জন্য তাকে পরামর্শ দিলে তিনি কামালকে বলেন সমস্ত তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণকসহই তিনি নিউজ করবেন এবং আগামী বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এ উত্থাপন করবেন মর্মে জানান।
তিনি আরও বলেন,”নিউজ হচ্ছে কারাগারের আর নাম হচ্ছে আমার”। তারা আমার কাছে রাজশাহী কারাগারের খাবার খাবারের মান, ক্যান্টিনের মালামাল দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি এসব নিয়ে প্রশ্ন করে। টেন্ডার অনুযায়ী রাজশাহীস্থ কারাগারগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগণের সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি হয় এবং স্ব স্ব কারা কর্তৃপক্ষ চূক্তি অনুযায়ী মালামাল সরবরাহ নেয়। ডিআইজি পদাধিকারবলে শুধু মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন এবং মূল্যায়ন কমিটির সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কারা অধিদপ্তরে প্রেরণ ব্যতীত ডিআইজি প্রিজন এর আর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এমন কি ঠিকাদারগণকেও সমস্ত বিল ডিডিও হিসেবে প্রতিটি কারা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করে থাকেন।
ডিআইজি বলেন, যারা আমার নামে সংবাদ প্রকাশ করছে হযতো অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা দিচ্ছি না এ কারণে। তাছাড়া তাদের কোন কথা হয়তো আমি বুঝতে পারিনি অথবা অবৈধ কোন আবদার রক্ষা করতে পারিনি এমনও হতে পারে। শুধু রাজশাহী কারাগার নয়, অন্য ৭টি কারাগার সম্পর্কে যদি অভিযোগ থাকে তাহলে আমাকে জানালে আমি তা খতিয়ে দেখবো সত্যতা আছে কি-না, যদি সত্যতা থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অথবা আমার এখতিয়ারের বাইরে হলে তা আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।