
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রবিবার পূর্ণদিবস কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এবং ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে এই পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। দাবি না মানা হলে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মবিরতি চলমান থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) দাফতরিক কাজ শেষে দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠেন। এ অবস্থায় কিছু ছাত্র তাকে গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে গাড়ির চাবি নিয়ে নেন এবং অশালীন উক্তিসহ তার গাড়ির ওপরে ভিক্ষা হিসেবে টাকা ছুড়ে দেন। এরপর হেঁটে বাসায় ঢুকতে গেলে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। নিরুপায় হয়ে উপ-উপাচার্য জুবেরী ভবনে যান। সেখানে তাকে ঘিরে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের কটূক্তি করেন ও ধস্তাধস্তি করতে থাকেন।
প্রক্টরসহ তার গভর্নিং বডির সদস্যরা তাকে (উপ-উপাচার্য) রক্ষার চেষ্টা করেন। এ সময় প্রক্টরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করাসহ তার পকেট হতে ১০ হাজার টাকা ও তার হাত ঘড়ি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। উপ-উপাচার্য নিরুপায় হয়ে জুবেরী ভবনের দোতলায় একটি কক্ষে আশ্রয় নিতে যান। সেখানে তার গলা চেপে ধরে ও ধাক্কা মেরে সিঁড়িতে ফেলে দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুবেরী ভবন একটি আবাসিক ও ক্লাব ভবন। এখানে অনেক পরিবার বাস করে, যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও আছে। জুবেরী ভবনের অবস্থানরত কক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ ও খাবার পানির ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে অশ্রাব্য ভাষায় গালিসহ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এতে ওই ভবনে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভবনের পরিবারগুলো আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় আছে। রাবির প্রাক্তন প্রক্টর ও রাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এনামুল হক সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। উপরোক্ত ঘটনাবলি আসন্ন রাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ বলে শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মনে করছেন।