
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলার সময় পবা থানার শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা মারুফ মর্তুজা (২৭) কে গুলি করার অভিযোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার সহ ২২ জনের নামে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজশাহীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভুগী মর্তুজা।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো ফয়সাল তারেক অভিযোগটি পুলিশ সুপার পি.বি.আই রাজশাহীকে নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, রাজশাহী রেঞ্জের সাবেক ডি.আই.জি মো আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত ডি.আই.জি বিজয় বশাক, বোয়ালিয়া জোনের ডিসি বিভুতি ভুষণ ব্যানার্জি, আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি উৎপল, আরএমপির ওসি ডিবি মো. মশিয়ার রহমান , বোয়ালিয়া থানার ওসি মো. হুমায়ন কবির, বোয়ালিয়া থানার ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম, কর্ণাহার থানার ওসি কমল কুমার দেব, কাটাখালি থানার ওসি মো. তৌহিদুর রহমান, রাজপাড়া থানার এসআই ক্লিংকর, মানিক ও কাজল নন্দী , এয়ারপোর্ট থানার এসআই আব্দুর রহিম, বোয়ালিয়া থানার এসআই ইফতেখার আল আমিন ও কনস্টেবল আশরাফুল, কনস্টেবল ফুলবাস কাটাখালি থানা , রাজপাড়া থানার এএসআই মানিক ও প্রণব , এএসআই তসলিম এবং এসআই সিরাজ।
আদালতে দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন তালাইমারি থেকে বাজারের দিকে আসতে থাকলে উপরোক্ত আসামিসহ অজ্ঞাত আরো প্রায় ১০০/২০০ জন দল বন্ধ হয়ে পিস্তল, সটগান, ককটেল ইত্যাদি এবং দেশি ও বিদেশী অস্ত্র সহ স্বচ্ছ টাওয়ারের সামনে আসা মাত্রই আসামীগণ তাদের হাতে থাকা উপরে উল্লিখিত অস্ত্র দ্বারা আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপরে মুহুর্মুহু গুলি ছুড়তে থাকে এবং ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। আসামীদের ছোড়া ককটেলের আঘাতে আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন ছাত্র জনতা গুরুত্বর আহত হয়। এক পর্যায়ে ১নং আসামীর হুকুমে অন্যান্য আসামীগণ আন্দোলনকারীদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়তে থাকলে ১টা গুলি এসে মর্তুজার ডান পায়ের হাটুর নিচে লাগে এবং একটা গুলি হাটুর নিচে মাসুলে লেখে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়।