
সাবিকুননাহার মিম:
তীব্র রোদে ও অসহনীয় গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। রোদে রাস্তায় পিচ পর্যন্ত গলে যাচ্ছে। রাস্তার পাশে চলাফেরা করলে গরম বাতাসে যেন ঝলসে যাচ্ছে চোখ মুখ। তবুও কিছু কিছু জায়গায় চোখ যেন জুড়িয়ে দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়া। যা মনকে শান্ত করে ফেলছে। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি বৈশাখের আগমনটা বয়ে আনে এই কৃষ্ণচূড়া। রাস্তার ক্লান্ত পথিকদেরও এই কৃষ্ণচূড়া চোখ আটকিয়ে ফেলে। আগুন রঙের কৃষ্ণচূড়া যেন বৈশাখের তাপদাহে তার রূপ মেলে ধরেছে তার আপন মহিমায়।
সরে জামিনে দেখা যায় রাজশাহী প্রকৃতিতে ভরপুর একটি শহর, যার চারদিকে তাকালে চোখ জুড়িয়ে যায়। দেখা যায় নানা ধরনের ফুলের সমাহার । গ্রীষ্মের মাঝামাঝি এ সময়টা যেন রাজশাহী শহরটা ফুলের সৌন্দর্যে ছড়িয়ে পড়ে। হলুদ আর জারুলের ঘন বেগুনি নানা ধরনের ফুলের সমাহার কিন্তু চোখ জুড়ানো আগুন রঙা কৃষ্ণচূড়া মানুষের মনকে বেশি নেড়ে দেয়। প্রকৃতিতে ভরপুর এই শহরে রাস্তার পাশে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে বিভিন্ন জায়গায় এই চোখ জুড়ানো ফুল দেখা মিলে। যা গ্রীষ্মের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় ক্লান্ত পথিকরা এসে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে প্রাণ জুড়ায় কেউবা সেই ফুলে সৌন্দর্যের ছবি নেয়। এই ফুলের সৌন্দর্যের মহিমায় অনেক কবি অনেক কথা লিখে গেছেন।
জাতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, কৃষ্ণচূড়া রাঙা মঞ্জুরী কর্ণে আমি ভুবন ভুলাতে আমি গন্ধে এই বর্ণে এমন পঙতি দিয়ে বোঝা যায় কতটা সৌন্দর্য কৃষ্ণচূড়া প্রকৃতিকে দান করেছে।
কৃষ্ণচূড়া নিয়ে অনেক গানও রয়েছে, টিভিতে বিভিন্ন শো হয়ে থাকে। এই কৃষ্ণচূড়া সৌন্দর্য যেন সকল মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে। কৃষ্ণচূড়া মাধ্যম আকৃতি পত্র ঝড়া বৃক্ষ। শীতের সময় গাছে সব পাতা ঝরে যায়, কৃষ্ণচূড়া জন্মের জন্য উষ্ণ প্রায় উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার হয়।বিশেষ করে এপ্রিল থেকে জুলাই মাস জুড়ে এই ফুল শোভা বর্ধন করে থাকে বসন্তের শুরুতে এই ফুলে সৌন্দর্য শুরু হয়ে বর্ষা পর্যন্ত থাকে।কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখলে আমি অবাক চোখে তাকিয়ে থাকি আর ভাবি সৃষ্টিকর্তা এত সৌন্দর্যমন্ডিত ভাবে কিভাবে এই ফুল সৃষ্টি করেছে।
কৃষ্ণচূড়াফুল প্রকৃতিতে বিরাজ করে বলেই প্রকৃতি এত সুন্দর।