
নিজস্ব প্রতিবেদক:
“রাজশাহীতে মেয়েকে উত্তক্তের প্রতিবাদে বাবা খুন” শিরোনামে আলোচিত আকরাম হোসেন হত্যা মামলার মূল হোতা মোঃ বিশাল (২৮) ও সহযোগী মোঃ নাহিদ (২৫) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১০:৪০ মিনিটে র্যাব-৫ ও র্যাব-১২ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানাধীন চরনাড়ুয়া এলাকা হতে মৃত রতন মিয়ার ছেলে মোঃ বিশাল (২৮) ও রাজশাহী মহানগরীর বেলপুকুর থানাধীন রেলগেট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২:৫ মিনিটে র্যাব-৫ জামালের ছেলে মোঃ নাহিদ (২৫) কে গ্রেফতার করে। উভয়ই তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকার বাসিন্দা।
আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল নওগাঁ থেকে মামলার ১নং আসামী মোঃ নান্টু(২৮) ও ৩নং আসামী মোঃ খোকন মিয়া (২৮) কে গ্রেফতার করে র্যাব।
জানা যায়, ভিকটিম মৃত আকরাম হোসেন (৫২) পিতা-মৃতঃ আজদার আলী শাহ, সাং-তালাইমারি শহিদ মিনার, থানা-বোয়ালিয়া রাজশাহী মহানগর পেশায় একজন বাস ড্রাইভার। আসামী নান্টু (২৮) তাহার প্রতিবেশি। ভিকটিমের পরিবারের সাথে আগে থেকেই আসামীদের পূর্বশত্রুতা ছিল। ভিকটিমের মেয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী। ঘটনার দিন ০৪.৩০ ঘটিকায় ভিকটিমের মেয়ে প্রাইভেট পড়া শেষ করে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকায় অটোরিকশা থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার পথে আসামী নান্টু, বিশাল ও তাদের সহযোগীরা তাকে গালিগালাজ করে উত্তক্ত করে। ভিকটিমের মেয়ে বাসায় গিয়ে বাবা আকরাম হোসেনকে বলে। তার বাবা নান্টুর বাবাকে নান্টুর উত্তক্ত করার বিষয়ে জানান। এতে নান্টু, বিশাল ও তাদের সহযোগীরা আরও ক্ষীপ্ত হয়ে আকরামের উপর হামলা করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর ভিকটিম কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভিকটিমকে মৃত ঘোষনা করেন।
ঘটনাটি দেশব্যাপী প্রিন্ট, ইলেক্টনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী আসামীদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারে ও বিচারের জন্য লাশ নিয়ে তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকায় মানববন্ধন করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ৭ জনকে এজাহার নামীয় ও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।