নিজস্ব প্রতিবেদক:
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও সেই আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন, নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে সমমনা আটটি রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ বলেন, দেশে একাধিকবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। এর দুটি প্রধান কারণ এক, যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের উন্নয়ন চেয়েছে, জনগণের নয়; বরং চাঁদাবাজি, রাহাজানি ও টাকা পাচারে লিপ্ত ছিল। দুই, দেশ চলছে মানব রচিত আইনে; এই আইন দিয়ে মানুষের প্রকৃত কল্যাণ সম্ভব নয়। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হলে কোরআনের আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, আগামী সংসদ হবে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত সংসদ। চাঁদাবাজদের প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ। অতীতে যারা চাঁদাবাজি করেছে, তাদের আর জায়গা নেই। আগামীতে সংসদ, সচিবালয় ও বিচারালয় সবকিছু চলবে কোরআনের ভিত্তিতে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ৮ দলের জোট নতুন জাগরণ সৃষ্টি করেছে। অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। সরকার একই দিনে গণভোটের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কারো ভুল পরামর্শের ফল।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চায়। চাঁদাবাজদের মানুষ আর দেখতে চায় না। কার্যকর পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে এবং ঐক্য রক্ষা করতে হবে-যাতে কেউ বিভক্তি সৃষ্টি করতে না পারে। ইসলামী দলকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায় জনগণ। দেশের নাজুক পরিস্থিতিতে আন্দোলনে গুলি-হামলা বরদাশত করা হবে না। জনগণের কাছে যেতে হবে এবং কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে হবে ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহ–সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমীর আব্দুল মাজেদ আতহারি।
সমাবেশ পরিচালনা করেন, রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ইমরান।
এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শেখ মো. নুরুন্নবী, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি শেখ মো. সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান রোকন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরের আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী, নায়েবে আমীর ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাকসুর ভিপি সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
