
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী পরিচালক স্বাস্থ্য এর কার্যালয়ে পলাতক হাসিনা সরকারের দোসরেরা বহাল তবিয়তে। ৩৬ জুলাইয়ের চেতনাকে ধারন করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভিশন নিয়ে অন্তরবর্তী কালিন সরকারের নিরলস চেষ্টা অনেক টাই ব্যাহত হচ্ছে, তৎকালীন পতিত সরকারের আমলা, কর্মকর্তা, কর্মচারী যে অফিস গুলোতে এখনো শক্তপোক্ত ভাবে বসে আছে, তারা পতিত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সচেষ্ট ভুমিকা পালন করছে। তেমনি কিছু চিত্র আমাদের হাতে আসে, রাজশাহী পরিচালক স্বাস্থ্য এর অফিসে ডা: রোজিআরা খাতুন সক্রিয় আওয়ামী পন্থী (স্বাচিপ) স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কর্মী, আগের মতই দাপট নিয়ে চলছে, তার নামে অনেক অভিযোগ থাকলেও কর্নপাত করেন না।
সম্প্রতি বদলি হয়ে আসা মো: শফিকুল ইসলাম (মিলন) পরিচালক স্বাস্থ্য এর কার্যালয়ের প্রধান সহকারী হিসেবে আসেন, কনিষ্ঠ হয়ে কি করে এই পদটিতে আসলেন এটি নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন বয়জৈষ্ঠ কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন, আওয়ামী ঘরানার পলাতক মেয়র লিটনের ডান হাত ও কোষাধক্ষ্য ঠিকাদার আওয়ালের নিকট আত্ত্বীয় এই শফিকুল ইসলাম মিলন, ওনি কি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবেন, আপনারাই বলুন ছাত্র জনতার অভুত্থান এর চেতনা, না পলাতক দের ফিরিয়ে আনা?
প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে এখানে শাস্তিমূলক বদলি হয়ে চাকরি করছেন মো : নাসির উদ্দিন বিভাগীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার, তিনি অফিস করেন না মাসের পর মাস উপস্থিত না হয়ে বেতন ভাতা সহ সব সুযোগ সুবিধা ঠিকঠাক মত নিচ্ছেন। এক টানা তিন মাসের বায়োমেট্রিক সেন্সর এটেন্ডেটস স্ক্রল চেক করে মাত্র সাত দিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নাসিরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বদলি এখানে (সংযুক্তি), এখানে আমার তেমন কোন কাজ নেই,পরিচালক পদ এখন শুন্য, ডি ডি উপপরিচালক ডা: হাবিবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।ওনাকে এই সব ব্যাপারে জানতে চাইলে এক কথায় বলেন ভাই আমি তো ভারপ্রাপ্ত, এখানে আমি যাহা কিছু করি উপরের নির্দেশে,মানে ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন (এডমিন) স্যার।
এডমিনকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি বিষয় গুলি শুনে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন,কিন্তু কোন কার্যকর ভূমিকা এখনো দৃশ্যমান নয়। সচেতন মহল দ্রুত এ সমস্ত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী দোসর দের অপসারণ চায়।