
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুবিধা না পাওয়ায় রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত সংবাদ প্রকাশ করছে এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে বলে জানান ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন।
জানা যায় একটি কুচক্রী মহল ”রাজশাহী কারাগারের ডিআইজি কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ” এই শিরোনামে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত করে আসছে।
সংবাদে বলা হয় ”কামাল হোসেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠভাজন হওয়ায় তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কারাগারে পিসি বাণিজ্য, বন্দীদের খাবার বাণিজ্য থেকে শুরু করে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ হরিলুট করেছে”। যার সত্যতা পাওয়া যায় নি। এটি পুরোপুরি অসত্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
ডিআইজি কামাল আসার পর থেকে বন্দীদের খাবার ও চিকিৎসার মান উন্নতি হয়েছে। আগে বন্দীদের বিভিন্ন দুর্ভোগ ও হেনস্থায় পড়তে হতো যা কামাল হোসেন নিরসন করেছেন। এছাড়াও কারাগারের সার্বিক উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিয়ম অনুসারে টেন্ডারের মাধ্যমে রাজশাহীস্থ কারাগারগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগণের সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি হয় এবং স্ব স্ব কারা কর্তৃপক্ষ চূক্তি অনুযায়ী মালামাল সরবরাহ গ্রহন করে। ডিআইজি পদাধিকারবলে শুধু মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন এবং মূল্যায়ন কমিটির সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কারা অধিদপ্তরে প্রেরণ ব্যতীত ডিআইজি প্রিজন এর আর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনকি ঠিকাদারগণকেও সমস্ত বিল ডিডিও হিসেবে প্রতিটি কারা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করে থাকেন।
ডিআইজি কামাল হোসেন বলেন, আমার নামে যেসব সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যারা আমার নামে সংবাদ প্রকাশ করছে হযতো অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা দিচ্ছি না এ কারণে। তাছাড়া তাদের কোন কথা হয়তো আমি বুঝতে পারিনি অথবা অবৈধ কোন আবদার রক্ষা করতে পারিনি এমনও হতে পারে। আমার নামে যদি অভিযোগ থাকে তাহলে শুধু রাজশাহী কারাগার নয়, অন্য ৭টি কারাগার সম্পর্কে যদি অভিযোগ থাকতো। অভিযোগ থেকে থাকলে আমাকে জানালে আমি তা খতিয়ে দেখবো সত্যতা আছে কি-না, যদি সত্যতা থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কর্তৃক লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৫০ নম্বর করা হলে মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত হবে বলে গত ২৬ নভেম্বর রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রশাসন সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের বিভাগীয় সভায় এ প্রস্তাব করেন। তার এই প্রস্তাবটি আমলে নিয়ে সংস্কার কমিশন বিসিএস ভাইভায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে ১০০ নম্বর রাখার সুপারিশ করে।