
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাঘায় শাশুড়ীকে ধারালো দা ও গলা টিপে হত্যা মামলার অভিযোগে শাকিল আহমেদ অরফে তছিকুলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
বুধবার (১৯ মার্চ) দিনগত রাত ১২.১০ মিনিটে রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন বাউসা হেদাতিপাড়া নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার একমাত্র আসামী তছিকুলকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র্যাব।
গ্রেফতারকৃত মোঃ শাকিল আহমেদ অরফে তছিকুল (২৩) রাজশাহী জেলার বাঘা থানার মোঃ সাহাদত আহাদত আলীর ছেলে।
জানা যায়, মোঃ শাকিল আহমেদ অরফে তছিকুল এর স্ত্রী ভিকটিম মোছাঃ মনিকা খাতুন (২৫) এর ওপর সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। গত ১০ মার্চ ২০২৩ সকালে ভিকটিম এর মা রেহেনা খাতুন (৫০) অসুস্থ্য হওয়ার সংবাদ পাইলে ভিকটিম তার মায়ের বাড়ীতে যায়। এ সময় উক্ত আসামী দা এর উল্টা পিঠ দিয়ে ভিকটিমকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে। উক্ত ঘটনাটি আসামীর চাচা শশুরকে জানালে আসামী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম ও ভিকটিমের মাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে ভিকটিম প্রাণের ভয়ে মায়ের বাড়ীতে চলে আসে এবং গার্মেন্টেসে চাকুরীর জন্য নারায়ণগঞ্জ চলে যায়। উক্ত আসামী ভিকটিম মোছাঃ মনিকা খাতুনকে খোজার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ যায় এবং তার স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে তার বাড়ীতে চলে আসে। গত ২৭ এপ্রিল ২০২৪ সকাল ৮ টায় উক্ত শাকিল ভিকটিমের মায়ের বাড়ীতে গিয়ে তার মাকে মাথায় আঘাত করে এবং গলা টিপে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে উক্ত আসামী দ্রুত পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের পর থেকেই শাকিল নিজেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজেকে আত্মগোপনে রেখেছিল। এই ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত হয় এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে নিহত ভিকটিমের মেয়ে বাদী হয়ে বাঘা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই নারকীয় হত্যাকান্ডের সঠিক তথ্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, সিপিএসসি, রাজশাহীর একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচনের ভিত্তিতে হত্যার আসামী মোঃ শাকিল আহমেদ অরফে তছিকুলকে আজ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতার আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী জেলার বাঘা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।