
মো: সাজিদুর রহমান:
আজ ৯ মে, ৩৮ বছরে পা দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের নির্ভরতার আরেক নাম মুশফিকুর রহিম। ছোটখাটো গড়ন, শান্ত স্বভাব, অথচ লোহার মতো মানসিকতা নিয়ে যিনি মাঠে দাঁড়ালেই বোঝা যায়-বাংলাদেশের ইনিংস ভরসায় আছে।
এই মানুষটা কখনো ঢাকঢোল পিটিয়ে নিজেকে জানান দেন না। সংবাদমাধ্যমের সামনে বড় কথা বলেন না। তবুও দেশের প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমী জানেন-কঠিন সময়ে যখন সবাই ব্যর্থ হন, তখন এই মানুষটিই দাঁড়ান দেয়ালের মতো।
মুশফিক মানেই দায়িত্ব
“মুশফিক খেললে আমি নিশ্চিন্ত থাকি, কারণ আমি জানি-সে শেষ পর্যন্ত লড়বে।”
মাশরাফি বিন মুর্তজা
শুধু ব্যাট হাতে নয়, উইকেটরক্ষক হিসেবেও তাঁর প্রতিটি স্ট্যাম্পিং, রান আউট, কিংবা নির্দেশনা যেন পুরো দলকে পথ দেখায়। খেলায় যখন হেরে যাওয়ার শঙ্কা, তখন বারবার দেখা গেছে মুশফিকের ব্যাটে ভর করে নতুন করে আশার সঞ্চার।
কিছু অবিস্মরণীয় মুহূর্ত
২০১৩ গল টেস্ট: বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। গলে একাই লড়াই করেছিলেন একদম শেষ অবধি।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে শেষ ওভারের আগপর্যন্ত লড়াই, যেটা জয় না হলেও হৃদয় জয় করে নিয়েছিল।
নিদাহাস ট্রফি ২০১৮: ফিনিশারের ভূমিকায় নেমে নিজেই বলেছিলেন, “নামবো, মারবো, জিতবো,”—আর ঠিক সেটাই করেছিলেন।
আবেগ আর ভালোবাসায় গড়া এক ক্যারিয়ার
“আমি খেলে চলেছি নিজের স্বপ্নের জন্য নয়, দেশের জন্য।”
মুশফিকুর রহিম
আজকের দিনে ভক্তরা যখন তাঁর পুরনো ছবিতে ফিরে যান, তখন চোখ ভিজে আসে আবেগে। কেউ লেখেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেটের পেছনে যদি একজন নীরব যুদ্ধার ছবি আঁকতে হয়, তবে সেটা হবে মুশফিক।”
জাতীয় দলে নিয়মিত না থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনো নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে লড়ে যান এই মানুষটি। কোনো শো-অফ নেই, কোনো বিতর্কে জড়ানো নেই-শুধুই নিবেদন আর নীরব সংগ্রাম।
শুভকামনা আজকের দিনে শুধু একজন ক্রিকেটারের জন্মদিন নয়, বরং এটা সেই মানুষটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন, যিনি আমাদের অনেক হাসি, অনেক আশ্রয় আর অনেক “শেষ আশার আলো” হয়ে থেকেছেন।
“তুমি যখন ব্যাট হাতে নামো, তখন আমরা শুধু স্কোর নয়-ভরসা গুনতে থাকি। জন্মদিনে আমাদের তরফ থেকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা, মুশফিক ভাই।”