
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে সংগঠিত ডাকাত দলের নেতা ডাকু আউয়ালসহ সংঘবদ্ধ ছিনতাই ও চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় আরো ১১ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
বর্তমান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশক্রমে ও র্যাব ফোর্সের সদর দপ্তরের দিক নিদের্শনায় জুড়ে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ধর্ষণরোধে র্যাব-৫ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনে দিনে রাতে রোবাস্ট পেট্রোল ও পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া শহরের বিচ্ছিন্ন গুরত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, ঢাকা রাজশাহী হাইওয়েতে যানবাহনে তল্লাশিসহ ছিনতাইকারী, ডাকাত ও অন্যান্য সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রকে ধরতে র্যাব-৫ এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলের নেতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
বুধবার ( ২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-৫।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বোয়ালিয়া থানার মোঃ হাতেম কসাই এর ছেলে ডাকাত নেতা মোঃ আব্দুল আউয়াল ও ডাকু আউয়াল (৪৫), ও তার সহযোগী দামকুড়া থানার মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে মোঃ সম্রাট (৩৮), ছিনতাই ও চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা হলেন চন্দ্রিমা থানার মোঃ আকবর আলীর ছেলে মোঃ শান্ত ইসলাম (২২), বোয়ালিয়া থানার আলমগীর হোসেনের ছেলে মোঃ জিসান হোসেন (২৩), মতিহার থানার মোঃ আফজাল হোসেনের ছেলে মোঃ মাইদ হোসেন আলিফ (১৯), চন্দ্রিমা থানার মোঃ রজব আলীর ছেলে মোঃ শাকিল খান (২৩), আফরোজ এর ছেলে মোঃ নাইম ইসলাম (২৫), ও মৃত বাদশার ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম সনি (৩২) উভয় থানা বোয়ালিয়া, কাশিয়াডাঙ্গা থানার মোঃ সেলিমের ছেলে মোঃ আকাশ হোসেন (২৩), চারঘাট থানার মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ সোহাগ আলী (২৮), এছাড়াও কিশোর গ্যাং দলের সক্রিয় সদস্য কাশিয়াডাঙ্গা থানার মোঃ জনির ছেলে মোঃ জীবন ইসলাম (১৬)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত মোট ৬৪টি মোবাইল ফোন, ৬৪টি মানিব্যাগ, নখদ ১৬৪৫/-টাকা, ৬১ টি ধারালো টিপ চাকু, ৬১টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই ও ১ টি মোটরসাইকেল জব্দ করে র্যাব ।
উল্লেখ্য, ডাকু আউয়াল ও তার সহযোগী সম্প্রট এর নামে পূর্বেও একাধিক ডাকাতি ও ছিনতাই এর মামলা রয়েছে। ছিনতাই ও চাঁদাবাজ প্রত্যেকেরই নামেই একাধিক মাদক, ছিনতাই ও চুরির মামলা রয়েছে তারা সকলেই রাজশাহী মহানগরীর নামধারী ছিনতাইকারী এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের তালিকাভুক্ত।
গ্রেফতার মোঃ জীবন ইসলাম এলাকার কথিত কিশোরগ্যাং লিডার নামে পরিচিত। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার করতে ব্যাব-৫ এর এই আভিযান চলমান রয়েছে।